শরীরে মেদ বেড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। পেট ফোলা, পেট ফাপা ও ব্যথা হওয়ার মত সমস্যাগুলোর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আর এগুলো প্রতিদিনের কাজকর্মে বাধা হয়ে দাড়ায়। বিশেষকরে বাইরে যাওয়ার সময় এগুলো হলে অনেক ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়। এমনকি জিন্স বা টাইট কোনো পোশাক পরতেও অস্বস্তি অনুভূত হয়।  

how to loose more weight in a short period
how to loose more weight in a short period


কম বয়সেও এখন অনেকের মেদ বেড়ে যেতে দেখা যায়।  তাই সময় থাকতেই কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সাধারণ উপায় অবলম্বন করে পাওয়া যেতে পারে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ।

১. নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া

বেশি খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ বেড়ে যায়। বিশেষকরে খাবার তাড়াতাড়ি করে খাওয়ার ফলে এটি বেশি হয়ে থাকে। কারণ, খাবার দ্রুত খাওয়ার করনে অনেক সময় বোঝা যায় না কতোটা পরিমানে খাওয়া হচ্ছে।  এক্ষেতে প্রায়ই বেশি খওয়া হয়ে যায়। এটার ফল হিসেবে বেড়ে যেতে পারে মেদ। তাই কখনো তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে মনোযোগসহ খাবার খেতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং প্রতিটি খাবার ভালো করে চিবিয়ে কেতে হবে।

২. অ্যালার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা

অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বেশি খেলে তা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং পেটে গ্যাস অনুভব হতে পারে।  যদি কোনো খাবার খাওয়ার পরে পেটে ফোলা অনুভব হয় তবে এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ল্যাকটোজ, ফ্রুক্টোজ, ডিম এবং আঠালো কিছু খাবারও অনেকের অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।  এগুলো খাওয়ার ফলে অনেকের তা হজম করা কঠিন হয়ে থাকে যার কারণে পেট ব্যথা করতে পারে।  এ ধরনের যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৩. গ্যাস সৃষ্টিকারক খাবার এড়িয়ে চলা

যখন কার্বনেটেড পানীয় পান করি বা পাইপ দিয়ে কোনো পানীয় পান করি এবং চুইং গাম চিবোই তখন প্রচুর বায়ু এবং গ্যাস আমাদের পেটের ভেতরে প্রবেশ করে।  এর ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে পেট ব্যথা করতে পারে।  কার্বনেটেড পানীয়গুলোতে কার্বন ডাই অক্সাইডের বুদবুদ থাকে।  তাই এ জিনিসগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৪. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো

যেসব খাবার বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ সেগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  কারণ এ খাবারগুলো পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি করতে পারে।  এ ধরনের খাবারের তালিকায় রয়েছে শিম, ডাল, লেবু ও চর্বিযুক্ত খাবার।  এগুলো হজমশক্তি কমিয়ে দেয় এবং ইতোমধ্যে যারা মেদজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্যেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৫.  খাবার খাওয়ায় দূরত্ব কমানো

অনেকক্ষণ না খাওয়ার কারণে অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ায় পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।  তাই হজম ঠিক রাখতে সারা দিন ছোট ছোট ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। ছোট ব্যাবধানের খাবারে বাদাম বা ফলমূল রাখা যেতে পারে।  এগুলো পেটের ফোলাভাব এবং মেদ সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে।

৬. প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া

পেটের অন্ত্র খারাপ থাকা মেদ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।  এ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।  দই ও আচার জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার ভালো অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে এবং হজম প্রক্রিয়া গতি বাড়াতে সহায়তা করে।  বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, এ প্রোবায়োটিক খাবারগুলি হজমজনিত সমস্যা দূর করতে, পেটের গ্যাস উত্পাদন কমাতে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে।



৭. লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাবার পরিহার

নোনতা নাস্তা বা বেশি পরিমাণে সোডিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণও এ সমস্যা সৃষ্টির অন্যতম কারন হতে পারে। সোডিয়ামযুক্ত খাবার শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং এর কারণে পেট ফুলে-ফেপে উঠতে পারে। তাই লবণযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

 

 

 

 

 

Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.

 রসালো, মিষ্টি এই ফলটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।  চলছে আমের মৌসুম। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর আম। জেনে নিন সুস্বাদু এই ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ।

MANGO



আমে আছে ভিটামিন, খনিজ আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আমে থাকা ভিটামিন কে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। হলুদ রংয়ের এই ফলে আছে প্রচুর আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে আম।

আমে এমন সব খাদ্য উপাদান আছে যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে আমে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান ও ফাইটোকেমিক্যালস ফ্যাট কোষ ও ফ্যাট সম্পর্কিত জিন বাড়তে দেয় না, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে শক্তিও যোগায় আম।

করোনাকালে ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে।  আমে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, যা স্বাস্থ্যকর কোলাজেন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  এছাড়া আম শরীরের যেকোনো ধরনের ক্ষত দ্রুত সাড়াতে সাহায্য করে।

আমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ।  আম খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি হলো, আম প্রতিদিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে।

আম এমন একটি ফল যা হজম হয়। আমে থাকা অ্যামাইলেস ও ডায়েটি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

 

 

 

 

Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.

 মুখে বাজে গন্ধ অনেকেরই হয়ে থাকে।  এমন সমস্যায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।  বন্ধু-সঙ্গীরা মুখ ফিরিয়ে নেয় অনেক সময়।  এমন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান আছে।  এ সম্পর্কে যুগান্তরে লিখেছেন ডা. অনুপম পোদ্দার।  তিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের পেরিওডন্টোলজি ও ওরাল প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।  



মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়

* খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

* শারীরিক কিছু রোগ এবং মুখ ও দন্ত রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা

* সঠিক পদ্ধতিতে দন্ত পরিচর্যা।

* দীর্ঘসময় ধরে না খেয়ে থাকা।

* মুখের থুথু কমে যাওয়া- থুথু মুখের ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন বন্ধ করে কিন্তু রমজানে থুথুর পরিমাণ কমে যাওয়ায় ব্যাকটেরিয়াগুলোর দ্রুত প্রজনন হয়ে থাকে, যা দুর্গন্ধের কারণ হয়।

* যেসব খাবার মুখের পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, তা বেশি খাওয়া।

*কম পানি পান করা

* যেসব খাবার মুখের দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে, সেহরি বা ইফতারের সময় সেগুলো খাওয়া।

* নিয়মিত নিয়মমতো মুখ ও দাঁতের পরিচর্যা না করা।

* কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকা যেমন- নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, পেটের পীড়া, লিভারের সমস্যা, টনসিলজনিত সমস্যা ইত্যাদি।

* মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাসগত সমস্যা।

* দীর্ঘ সময় কিছু না খাবারের কারণে ও জিহ্বা পরিষ্কার না করার কারণে জিহ্বার উপর সালফারের প্রলেপ পড়ে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।


কী করবেন

মুখের এ দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে আমরা যেসব ব্যবস্থা নেব-

* দৈনিক কম করে হলেও ৩ থেকে ৪ লিটার গ্লাস পানি খেতে হবে।

* ফলমূল, শাকসবজি, দইজাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত।

* লেবু, জাম্বুরা, কমলা, কামরাংগা, মাল্টা ও আনারসের শরবত পান করা।

* গাজর, শসা, টমেটো, আমড়া ও আমলকি ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা।

* মুখ ও দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করা।

খাবারের পর ৩০-৬০ মিনিট আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, ব্রাশ করার জন্য যেন প্রাকৃতিক উপায়ে থুথুর মাধ্যমে খাদ্য পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে ও মুখের নরমাল PH বহাল থাকে।  খাবারের পরপরই মুখের PH এসিডিক থাকে, খাবার পর থুথু প্রথম মুখের PH নরমাল করে। তাই খাবারের পরপরই দাঁত ব্রাশ করার ফলে এনামেলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  অপরদিকে এসিডিক PH -এ ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন হার বেশি।

* অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল মাউথ ওয়াশ যেমন- ০.২ শতাংশ ক্লোরহেক্সিডিন অথবা ০.৫ শতাংশ পভিডোন আয়োডিন প্রতিদিন ৩ বার, ২ চামচ ৩০ সেকেন্ড ধরে প্রতিবার কুলকুচি করতে হবে। গোলাপ জল দিয়ে গার্গল করা যেতে পারে।

* প্রতি রাতে ১ বার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।

* মেনথল গাম ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খাওয়া যেতে পারে।

* নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করা।

* মুখ ও দাঁতের অসম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্পন্ন করে নেওয়া, যাতে খাবার না জমতে পারে।

* বর্তমানে কোভিড-১৯জনিত কারণে যেহেতু সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হয়, এজন্য মুখ দিয়ে সবাইকে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই সিডিসি গাইডলাইন অনুযায়ী, রোজাকালীন ৪ ঘণ্টা পরপর মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে। পুনরায় ব্যবহারকৃত মাস্কগুলো ৪ ঘণ্টা পর প্লাস্টিকের ডাস্টবিনে রাখতে হবে পরে ধুয়ে পরতে হবে। রুমে একা থাকার সময় মাস্কবিহীন থাকা ভালো।

* মাছ অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণ হয়। তাই মাছের উপর লেবুর রস দিলে দুর্গন্ধ মুক্ত হয়।

বর্জনীয়

* পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ ইত্যাদি খাদ্যের মধ্যে যে কেমিক্যাল থাকে তাহা রক্তবাহিত হয়ে প্রথমে ফুসফুসে আক্রমণ করে পরে তা প্রশ্বাসের মাধ্যমে বেরিয়ে এসে গন্ধের সৃষ্টি করে।

* ধূমপান পরিহার করতে হবে।

* খাবার সোডা ও কার্বোনেটেড ফলের রসে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে তাই এগুলো পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।

* মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে।

 

 

 

Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.

‘ব্যাম্বো চিকেন’ রান্না করবেন যেভাবে



পাহাড়ি বিভিন্ন রেসিপির মধ্যে ব্যাম্বো চিকেন অনেকেরই পছন্দ। চাইলে ঘরে বসেই রান্না করে খেতে পারেন ব্যাম্বো চিকেন।

উপকরণ: বাঁশের গিরা রেখে চাহিদামতো কেটে নিন। এরপর বাঁশ চোঙাটি সামান্য পানিতে ধুয়ে নিলে ভালো। দেশি মুরগি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা, ধনিয়াপাতাসহ পরিমাণ মতো তেল ও লবণ মিশিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মাংস মেখে রাখুন।

প্রণালী: ধুয়ে রাখা কাচা বাঁশের চোঙার মধ্যে মাখানো মাংস ঢুকিয়ে কলাপাতা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে হবে। এবার বাঁশগুলো কয়লায় বসিয়ে দিন। মাঝে মাঝে বাঁশটি ঘুরিয়ে দিন। এভাবে আধা ঘণ্টা রান্না করে, নামিয়ে নিন। বাঁশের মুখ খুলে ঢালুন এবং গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।





Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.

রাজশাহীর পরিচিত রান্না

কাটোয়া ডাঁটার চচ্চড়ি
কাটোয়া ডাঁটার চচ্চড়ি

কাটোয়া ডাঁটার চচ্চড়ি

উপকরণ: কাটোয়া ডাঁটা (দেখতে সাধারণ ডাঁটার মতো, তবে এর স্বাদ মিষ্টি) ৪০০ গ্রাম, ঝিঙা ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদাবাটা ২ চা–চামচ, রসুনবাটা ১ চা–চামচ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ করে, ধনেগুঁড়া ১ চা–চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ ও কাঁচামরিচ ৬টি।

প্রণালি: ডাঁটা ও ঝিঙা ২ ইঞ্চি করে কেটে ছিলে নিন। চুলায় একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে এলে ডাঁটা ও ঝিঙ্গা দিয়ে আবার কষিয়ে নিয়ে স্বাদমতো লবণ ও ১ কাপ পানি দিয়ে দিন। পানি শুকিয়ে এলে চুলার আঁচ কমিয়ে কাঁচা মরিচ ছেড়ে দিন। একটু একটু মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।



কালাই রুটি ও ভর্তা
কালাই রুটি ও ভর্তা

কালাই রুটি ও ভর্তা

রুটির উপকরণ:


কালাইয়ের আটা ১ কাপ, লবণ সামান্য ও পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি: কালাইয়ের আটা, লবণ ও পানি দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর আটা ভালো করে বেলে রুটি তৈরি করে নিন। এবার গরম তাওয়াতে ১ চা–চামচ তেল দিয়ে রুটির দুই পিঠ ছেঁকে নিন।

ভর্তার উপকরণ: পোড়া বেগুন আধা কাপ, পানি ঝরানো টক দই ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, টালা জিরার গুঁড়া ১ চা–চামচের চার ভাগের এক ভাগ, কাঁচা মরিচকুচি ৪টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা–চামচ।

প্রণালি: উপকরণ সব একসঙ্গে মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দই বেগুন ভর্তা।

রাজশাহীর পরিচিত রান্না



মাছের ঝোলে কালাই বড়ি
মাছের ঝোলে কালাই বড়ি

মাছের ঝোলে কালাই বড়ি

উপকরণ: রুই মাছ ৬ টুকরা, আলু ২টি, বেগুন আধা কাপ, কালাই ডালের বড়ি ৬টি, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, হলুদ, মরিচ, জিরা ও ধনেগুঁড়া ১ চা–চামচ করে, আদাবাটা আধা টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা–চামচ, কাঁচা মরিচ ৭টি, লবণ স্বাদমতো, তেল সিকি কাপ ও ধনেপাতাকুচি সামান্য।


প্রণালি: মাছ লবণ দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। বড়ি শুকনা কড়াইয়ে সামান্য ভেজে ফুটন্ত পানিতে ধুয়ে নিন। আরেকটি কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা, রসুনবাটা ও হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনেগুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার মাছ, আলু ও সামান্য পানি দিয়ে আবারও কষাতে থাকুন। কষানো হয়ে এলে ২ কাপ পানি ও বেগুন দিয়ে অপেক্ষা করুন। ঝোল ফুটে উঠলে বড়ি দিয়ে নেড়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে একটু নেড়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল।



আম শোল
আম শোল

আম শোল

উপকরণ: শোল মাছের টুকরা ৬টি, কাঁচা আমের টুকরা ২টি, হলুদগুঁড়া আধা চা–চামচ, মরিচ, ধনে ও জিরার গুঁড়া ১ চা–চামচ করে, আদাবাটা আধা টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লবণ স্বাদমতো, মেথিগুঁড়া আধা চা–চামচ, চিনি ১ চা–চামচ, সরিষার তেল ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ।

প্রণালি: মাছ ধুঁয়ে পানি ঝরিয়ে লবণ ও হলুদ মেখে ভেজে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরাগুঁড়া ও সামন্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এরপর আম দিয়ে আবার কষিয়ে নিয়ে এক কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছ, লবণ, চিনি ও মেথিগুঁড়া দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট দমে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে আম শোল।

বিজ্ঞাপন





Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.
পোস্তবাটায় লাবড়া
উপকরণ: সব ধরনের মৌসুমি সবজি ডুমো করে কাটা আধা কেজি, পোস্তবাটা ১ কাপ, এলাচি ৪টি, কাঁচা মরিচ ১০টি, তেল দেড় কাপ, চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ ও পাঁচফোড়ন ১ চা–চামচ।


প্রণালি: প্রথমেই কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা ও পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিয়ে পোস্তবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে। এবার কেটে রাখা সবজি দিয়ে দিতে হবে। স্বাদমতো লবণ ও হলুদ দিয়ে হালকা নেড়ে আধা ঘণ্টার জন্য ঢেকে দিতে হবে। এবার কাঁচা মরিচ ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।





Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.
নারকেল মোচার ঘন্ট


উপকরণ: কলার মোচা ১টি (মাঝারি আকারের), নারকেলবাটা ১ কাপ, আলু ২টি (মাঝারি আকারের), জিরাবাটা ২ টেবিল, আদাবাটা ১ চা–চামচ, এলাচি ৪টি, দারুচিনি ৭ টুকরা, তেল ১ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা–চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা–চামচ, মরিচের গুঁড়া ৩ চা–চামচ, হলুদের গুঁড়া ২ চা–চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ ও জল আধা কাপ।

প্রণালি: কলার মোচা বেছে কুচিয়ে নিতে হবে। এরপর জলে সেদ্ধ করে জল ফেলে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে সব মসলা কষিয়ে নিতে হবে। এরপর নারকেলবাটা দিয়ে আবার অনেকক্ষণ কষাতে হবে। আরেকটি কড়াইয়ে আলাদা করে আলু ভেজে রাখতে হবে। আলু ভাজা হয়ে এলে তা নারকেলবাটার মধ্যে দিয়ে কিছু সময় কষাতে হবে। আলু কিছুটা নরম হয়ে এলে মোচা দিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট নাড়াচাড়া করে আধা কাপ জল দিতে হবে। জল শুকিয়ে এলে ভাজা জিরার গুঁড়া, গরমমসলার গুঁড়া ও একটু চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। নামানোর আগে ঘি ঢেলে নামাতে হবে।





Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.
OlderStories Home

SPONSOR