শরীরে মেদ বেড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। পেট ফোলা, পেট ফাপা ও ব্যথা হওয়ার মত সমস্যাগুলোর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আর এগুলো প্রতিদিনের কাজকর্মে বাধা হয়ে দাড়ায়। বিশেষকরে বাইরে যাওয়ার সময় এগুলো হলে অনেক ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়। এমনকি জিন্স বা টাইট কোনো পোশাক পরতেও অস্বস্তি অনুভূত হয়।
how to loose more weight in a short period
কম বয়সেও এখন অনেকের মেদ বেড়ে যেতে দেখা যায়। তাই সময় থাকতেই কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সাধারণ উপায় অবলম্বন করে পাওয়া যেতে পারে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ।
১. নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া
বেশি খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ বেড়ে যায়। বিশেষকরে খাবার তাড়াতাড়ি করে খাওয়ার ফলে এটি বেশি হয়ে থাকে। কারণ, খাবার দ্রুত খাওয়ার করনে অনেক সময় বোঝা যায় না কতোটা পরিমানে খাওয়া হচ্ছে। এক্ষেতে প্রায়ই বেশি খওয়া হয়ে যায়। এটার ফল হিসেবে বেড়ে যেতে পারে মেদ। তাই কখনো তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে মনোযোগসহ খাবার খেতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং প্রতিটি খাবার ভালো করে চিবিয়ে কেতে হবে।
২. অ্যালার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা
অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বেশি খেলে তা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং পেটে গ্যাস অনুভব হতে পারে। যদি কোনো খাবার খাওয়ার পরে পেটে ফোলা অনুভব হয় তবে এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ল্যাকটোজ, ফ্রুক্টোজ, ডিম এবং আঠালো কিছু খাবারও অনেকের অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো খাওয়ার ফলে অনেকের তা হজম করা কঠিন হয়ে থাকে যার কারণে পেট ব্যথা করতে পারে। এ ধরনের যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. গ্যাস সৃষ্টিকারক খাবার এড়িয়ে চলা
যখন কার্বনেটেড পানীয় পান করি বা পাইপ দিয়ে কোনো পানীয় পান করি এবং চুইং গাম চিবোই তখন প্রচুর বায়ু এবং গ্যাস আমাদের পেটের ভেতরে প্রবেশ করে। এর ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে পেট ব্যথা করতে পারে। কার্বনেটেড পানীয়গুলোতে কার্বন ডাই অক্সাইডের বুদবুদ থাকে। তাই এ জিনিসগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো
যেসব খাবার বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ সেগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি করতে পারে। এ ধরনের খাবারের তালিকায় রয়েছে শিম, ডাল, লেবু ও চর্বিযুক্ত খাবার। এগুলো হজমশক্তি কমিয়ে দেয় এবং ইতোমধ্যে যারা মেদজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্যেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৫. খাবার খাওয়ায় দূরত্ব কমানো
অনেকক্ষণ না খাওয়ার কারণে অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ায় পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। তাই হজম ঠিক রাখতে সারা দিন ছোট ছোট ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। ছোট ব্যাবধানের খাবারে বাদাম বা ফলমূল রাখা যেতে পারে। এগুলো পেটের ফোলাভাব এবং মেদ সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে।
৬. প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া
পেটের অন্ত্র খারাপ থাকা মেদ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। দই ও আচার জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার ভালো অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে এবং হজম প্রক্রিয়া গতি বাড়াতে সহায়তা করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, এ প্রোবায়োটিক খাবারগুলি হজমজনিত সমস্যা দূর করতে, পেটের গ্যাস উত্পাদন কমাতে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৭. লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাবার পরিহার
নোনতা নাস্তা বা বেশি পরিমাণে সোডিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণও এ সমস্যা সৃষ্টির অন্যতম কারন হতে পারে। সোডিয়ামযুক্ত খাবার শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং এর কারণে পেট ফুলে-ফেপে উঠতে পারে। তাই লবণযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Bangla Cooking Book Bangla Cooking Book one of the website where you can find your desire cooking recipe in Bangla language . Also its coverage of fitness, home, beauty, travel, and other aspects of living well. If you want to share your recipe you can write us so that we can publisher your creation to our website.